২২ তম তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতকৃত অংশ
★ ২২তম রোজার তারাবীহ ★
[শবে ক্বদরের সম্ভাবনাময় রাতের অন্যতম একটি রাত]
[শবে ক্বদরের সম্ভাবনাময় রাতের অন্যতম একটি রাত]
আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ২২তম রোজার (সম্ভাবনার শবে ক্বদরের রাত, শেষ দশকের অন্যতম একটি রাত) তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের ২৫তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।
২৫তম পারা (সুরা হা-মীম এর ৪৭ আয়াত থেকে সুরা যাসিয়ার শেষ আয়াত পর্যন্ত) থেকে সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো :-
•কেয়ামতের জ্ঞান শুধু আল্লাহর কাছেই ন্যস্ত। তাঁর জ্ঞানের বাইরে কোন ফল আবরণ হতে বের হয় না। এবং কোন নারী গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব করে না। [সুরা হা-মীম-৪৭]
•আমি যখন মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করি তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং পার্শ্ব পরিবর্তন করে নেয়। আর যখন তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সুদীর্ঘ দোয়া করতে থাকে। [সুরা হা-মীম-৫১]
•আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা, রিযিক দান করেন। তিনি প্রবল, পরাক্রমশালী। [সুরা শূরা-১৯]
•যে কেউ পরকালের ফসল কামনা করে, আমি তার জন্যে সেই ফসল বাড়িয়ে দেই। আর যে ইহকালের ফসল কামনা করে, আমি তাকে তার কিছু দিয়ে দেই এবং পরকালে তার কোন অংশ থাকবে না। [সুরা শূরা-২০]
•তিনি তাঁর বান্দাদের তওবা কবুল করেন, পাপসমূহ মার্জনা করেন এবং তিনি তোমাদের কৃত বিষয় সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। [সুরা শূরা-২৫]
•তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল; এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন। [সুরা শূরা-৩০]
•তোমাদেরকে যা দেয়া হয়েছে তা পার্থিব জীবনের ভোগ মাত্র। আর আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী। তাদের জন্যে, যারা ঈমান আনে ও তাদের পালনকর্তার উপর ভরসা করে। [সুরা শূরা-৩৬]
• যে সবর করে ও ক্ষমা করে দেয়, নিশ্চয়ই এটা সাহসিকতার কাজ। [সুরা শূরা-৪৩]
•আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে অবশ্যম্ভাবী দিবস আসার পূর্বে তোমরা তোমাদের পালনকর্তার আদেশ মান্য কর। সেদিন তোমাদের কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না এবং তা নিরোধকারী কেউ থাকবে না। [সুরা শূরা-৪৭]
•নিশ্চয় এ কোরআন আমার কাছে সমুন্নত অটল রয়েছে লওহে মাহফুযে। [সুরা যূখরুফ-৪]
•আমার সম্পর্ক তাঁর সাথে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। অতএব, তিনিই আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করবেন। [সুরা যূখরুফ-২৭]
•যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্যে এক শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী। [সুরা যূখরুফ-৩৬]
•শয়তান যেন কিছুতেই তোমাদেরকে নিবৃত্ত না করে। সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। [সুরা যূখরুফ-৬২]
•বরকতময় তিনিই; নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর সার্বভৌম অধিপতি। তাঁরই কাছে আছে কেয়ামতের জ্ঞান এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। [সুরা যূখরুফ-৮৫]
•আমি একে (কোরআন) নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে। নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। [সুরা দুখান-৩]
•এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।
আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী।
আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। [সুরা দুখান-৪-৬]
আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী।
আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। [সুরা দুখান-৪-৬]
•ফেরাউন, সে ছিল সীমালংঘনকারীদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়।
আমি জেনেশুনে তাদেরকে বিশ্ববাসীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম। [সুরা দুখান-৩১-৩২]
আমি জেনেশুনে তাদেরকে বিশ্ববাসীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম। [সুরা দুখান-৩১-৩২]
•আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি।
আমি এগুলো অযথা সৃষ্টি করিনি; কিন্তু তাদের অধিকাংশই এটা বোঝে না। [সুরা দুখান-৩৮-৩৯]
আমি এগুলো অযথা সৃষ্টি করিনি; কিন্তু তাদের অধিকাংশই এটা বোঝে না। [সুরা দুখান-৩৮-৩৯]
•নিশ্চয় খোদাভীরুরা নিরাপদ স্থানে থাকবে- উদ্যানরাজি ও নির্ঝরিণীসমূহে।
তারা পরিধান করবে চিকন ও পুরু রেশমীবস্ত্র, মুখোমুখি হয়ে বসবে।
এরূপই হবে এবং আমি তাদেরকে সঙ্গি দিব আনতলোচনা হুর।
তারা সেখানে শান্ত মনে বিভিন্ন ফল-মূল আনতে বলবে।
প্রথম মৃত্যুর পর তারা সেখানে আর মৃত্যু আস্বাদন করবে না; এবং আপনার পালনকর্তা তাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবেন।
আপনার পালনকর্তার কৃপায় এটাই মহা সাফল্য। [সুরা দুখান-৫১-৫৭]
তারা পরিধান করবে চিকন ও পুরু রেশমীবস্ত্র, মুখোমুখি হয়ে বসবে।
এরূপই হবে এবং আমি তাদেরকে সঙ্গি দিব আনতলোচনা হুর।
তারা সেখানে শান্ত মনে বিভিন্ন ফল-মূল আনতে বলবে।
প্রথম মৃত্যুর পর তারা সেখানে আর মৃত্যু আস্বাদন করবে না; এবং আপনার পালনকর্তা তাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবেন।
আপনার পালনকর্তার কৃপায় এটাই মহা সাফল্য। [সুরা দুখান-৫১-৫৭]
•সে আল্লাহর আয়াতসমূহ শুনে, অতঃপর অহংকারী হয়ে জেদ ধরে, যেন সে আয়াত শুনেনি। অতএব, তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন। [সুরা যাসিয়া-৮]
•যখন সে আমার কোন আয়াত অবগত হয়, তখন তাকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করে। এদের জন্যই রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। [সুরা যাসিয়া-৯]
•আমি আপনাকে রেখেছি ধর্মের এক বিশেষ শরীয়তের উপর। অতএব, আপনি এর অনুসরণ করুন এবং অজ্ঞদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবেন না। [সুরা যাসিয়া-১৮]
•যালেমরা একে অপরের বন্ধু। আর আল্লাহ পরহেযগারদের বন্ধু। [সুরা যাসিয়া-১৯]
•আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন, যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি তার উপার্জনের ফল পায়। তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না। [সুরা যাসিয়া-২২]
•নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই। যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন মিথ্যাশ্রয়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। [সুরা যাসিয়া-২৭]
•আমার কাছে রক্ষিত এই আমলনামা, যা তোমাদের বিরুদ্ধে সত্য স্বাক্ষ্য দিবে। তোমরা যা করতে আমি তা লিপিবদ্ধ করতাম। [সুরা যাসিয়া-২৯]
•যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদেরকে তাদের পালনকর্তা স্বীয় রহমতে দাখিল করবেন। এটাই প্রকাশ্য সাফল্য। [সুরা যাসিয়া-৩০]
No comments:
Post a Comment