Tuesday, 11 September 2018

মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে ক্রিকেট ম্যাচঃ ২০১৮


"মাদককে ঘৃণা করি, যুব সমাজকে গড়ে তুলি" ই স্লোগানকে সমুন্নত করতে গাজীপুর মহানগর এর টঙ্গীতে গড়ে উঠা দুটি সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংগঠন মা শান্তি নিবাস এসোসিয়েশন ও নগর এসোসিয়েশন মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে এক ব্যতীক্রমধর্মী উদ্যোগ আয়োজন করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে ক্রিকেট এখন একটি জনপ্রিয় খেলা যারমাধ্যমে যুব সমাজে মাদক বিরোধী সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ গ্রহন করেছেন সংগঠন দুটি। আগামী ১৪ ই সেপ্টেম্বর রোজ শুক্রবার, সকাল ৯ ঘটিকায়, ৫২ নং ওয়ার্ড এর সু-বিশাল প্রত্যাশা মাঠ প্রাঙ্গণে মা শান্তি নিবাস এসোসিয়েশন বনাম নগর এসোসিয়েশন এর মধ্যকার ক্রিকেট খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে। মা শান্তি নিবাস এসোসিয়েশন এর প্রতিষ্ঠাতা গাজীপুর জজকোর্টের আইনজীবী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক সদস্য এডঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, যুব সমাজের মধ্যে মাদক বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টিই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। এর জন্য আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি ও প্রচারণা চালানো হচ্ছে। অন্য দিকে নগর এসোসিয়েশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও টঙ্গী থানা ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল ইসলাম রাকিব বলেন, এমন একটি মাদক বিরোধী কার্যক্রমের সাথে আমি ও আমার সংগঠন নগর এসোসিয়েশন যুক্ত হতে পেড়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আশা করি, আমাদের এই মুক্তমনা প্রয়াসের মাধ্যমে আমাদের দুই সংগঠনের সদস্যবৃন্দ ও যারা খেলা উপভোগ করতে আসবেন তারা মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতন হবেন। এদিকে খেলা আয়োজনে স্বাগতিক মা শান্তি নিবাস ব্যাপক উদ্যোগ আয়োজন করেছেন। খেলার মাঠ প্রস্তুত, মুক্তমঞ্চ তৈরি, ব্যানর-ফ্যাস্টুন, সংগঠনের সদস্যদের জন্য দুপুরের খাবার, খেলোয়াড়দের জার্সি, খেলা শেষে খেলোয়ারদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণসহ সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ।

Thursday, 21 June 2018

Its virus

http://www.mediafire.com/file/6l6g16csczmzzxg/combinepdf.pdf/file
Virsu sure

Tuesday, 12 June 2018

২৭তম তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতকৃত অংশ

২৭তম তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতকৃত অংশ

★ ২৭তম রোজার তারাবীহ ★
[মহিমান্বিত লাইলাতুল ক্বদর। সর্বাধিক সম্ভাবনাময়]
আজ মঙ্গলবার দিবাগত রাত মহিমান্বিত লাইলাতুল ক্বদরের রাতে (সর্বাধিক সম্ভাবনাময়) ২৭তম রোজার তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের শেষ পারা (৩০তম পারা) তেলাওয়াত করা হবে।

৩০তম পারা থেকে (সুরা নাবা এর ১নং আয়াত থেকে সুরা নাস এর শেষ আয়াত পর্যন্ত) সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হল:-
•নিশ্চয় জাহান্নাম প্রতীক্ষায় থাকবে, সীমালংঘনকারীদের আশ্রয়স্থলরূপে। [ সুরা নাবা-২১,২২ ]
•এই দিবস সত্য। অতঃপর যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার কাছে (নিজের জন্য) ঠিকানা তৈরী করুক। [ সুরা নাবা-৩৯ ]
•যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছে; এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। [ সুরা নাজিয়াত-৩৭-৩৯ ]
•পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে, তার ঠিকানা হবে জান্নাত। [ সুরা নাজিয়াত-৪০-৪১ ]
•যেদিন তারা একে দেখবে, সেদিন মনে হবে যেন তারা দুনিয়াতে মাত্র এক সন্ধ্যা অথবা এক সকাল অবস্থান করেছে। [ সুরা নাজিয়াত-৪৬ ]
•সেদিন মানুষ পলায়ন করবে তার ভাইয়ের কাছ থেকে, তার মাতা, তার পিতা, তার পত্নী ও তার সন্তানদের কাছ থেকে। সেদিন প্রত্যেকেরই নিজের একটাই চিন্তা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে। [ সুরা আ’বাসা, ৩৪-৩৭ ]
•যখন আমলনামা খোলা হবে, যখন আকাশের আবরণ অপসারিত হবে, যখন জাহান্নামের অগ্নি প্রজ্বলিত করা হবে, এবং যখন জান্নাত সন্নিকটবর্তী হবে, তখন প্রত্যেকেই জেনে নিবে সে কি উপস্থিত করেছে। [ সুরা তাকভীর-১০-১৪ ]
•আপনি জানেন, বিচার দিবস কি? যেদিন কেউ কারও কোন উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কতৃত্ব হবে আল্লাহর। [ সুরা ইনফিতার-১৮-১৯ ]
•নিশ্চয়ই সৎলোকগণ থাকবে পরম আরামে, সিংহাসনে বসে অবলোকন করবে। আপনি তাদের মুখমন্ডলে স্বাচ্ছন্দ্যের সজীবতা দেখতে পাবেন। তাদেরকে মোহর করা বিশুদ্ধ পানীয় পান করানো হবে। তার মোহর হবে কস্তুরী। এ বিষয়ে প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা করা উচিত। [ সুরা মুতাফফিফীন-২২-২৬ ]
•যাকে তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে, তার হিসাব-নিকাশ সহজে হয়ে যাবে এবং সে তার পরিবার-পরিজনের কাছে হৃষ্টচিত্তে ফিরে যাবে [ সুরা ইনশিকাক-৭-৯ ]
•এবং যাকে তার আমলনামা পিঠের পশ্চাদ্দিক থেকে দেয়া হবে, সে মৃত্যুকে আহবান করবে, এবং জাহান্নামে প্রবেশ করবে। সেতো (দুনিয়াতে) তার পরিবার-পরিজনের মধ্যে আনন্দিতই ছিল। সে মনে করত যে, সে কখনও ফিরে যাবে না। কেন যাবে না, তার পালনকর্তা তো তাকে দেখতেন। [ সুরা ইনশিকাক-১০-১৫ ]
•যারা মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকে নিপীড়ন করেছে, অতঃপর তওবা করেনি, তাদের জন্যে আছে জাহান্নামের শাস্তি, আর আছে দহন যন্ত্রণা। [ সুরা বুরূজ-১০ ]
•যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্যে আছে জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হয় নির্ঝরিণীসমূহ। এটাই মহাসাফল্য। [ সুরা বুরূজ-১১ ]
•মানুষের ভেবে দেখা উচিত যে, কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে। সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে। এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে। নিশ্চয় তিনি তাকে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম। [ সুরা তারিক-৫-৮ ]
•নিশ্চয় কোরআন সত্য-মিথ্যার ফয়সালাকারী। এবং এটা উপহাস নয়। [ সুরা তারিক-১৩-১৪ ]
•নিশ্চয়ই সে সাফল্য লাভ করবে, যে শুদ্ধ হয় এবং তার পালনকর্তার নাম স্মরণ করে, এবং অতঃপর নামায আদায় করে। বস্তুতঃ তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দাও, অথচ পরকালের জীবনই তো সর্বোৎকৃষ্ট ও চিরস্থায়ী। [ সুরা আ’লা-১৪-১৭ ]
•যারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে তারাই হতভাগা। তারা অগ্নিপরিবেষ্টিত অবস্থায় বন্দী থাকবে। [ সুরা বা’লাদ-১৯,২০ ]
•যে দান করে এবং খোদাভীরু হয়, এবং উত্তম বিষয়কে সত্য মনে করে, আমি তাকে সুখের বিষয়ের জন্যে সহজ পথ দান করব। [ সুরা লাইল-৫-৭ ]
•নিশ্চয় কষ্টের পর স্বস্তি রয়েছে। নিশ্চয় কষ্টের পর স্বস্তি রয়েছে। [ সুরা আলাম-নাশরাহ-৫,৬ ]
•আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সুন্দরতর অবয়বে। [ সুরা তীন-৪ ]
•পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। যিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাটবদ্ধ রক্ত থেকে। পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। যিনি শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। [ সুরা আলাক-১-৫ ]
•নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি ক্বদরের রাতে। আর ক্বদরের রাত সম্বন্ধে আপনি কি জানেন? ক্বদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, বিরাজ করে উষার আবির্ভাব পর্যন্ত। [ সুরা ক্বদর-১-৫ ]
•যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা।
তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে তাদের প্রতিদান চিরকাল বসবাসের জান্নাত, যার তলদেশে নির্ঝরিণী প্রবাহিত। তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। এটা তার জন্যে, যে তার পালনকর্তাকে ভয় কর। [ সুরা বাইয়্যেনাহ-৭,৮ ]
•প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল রাখে; এমনকি, তোমরা কবরস্থানে পৌছে যাও। [ সুরা তাকাসুর-১,২ ]
•কসম সময়ের, নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের। [ সুরা আসর-১-৩ ]
•প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর জন্য দুর্ভোগ। [ সুরা হুমাযা-১ ]
•দুর্ভোগ সেসব নামাযীর, যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর। [ সুরা মাউন-৪,৫ ]
•নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি। অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন। যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ। [ সুরা কাউসার-১-৩ ]
•বলুন, হে কাফেরকূল, আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর। এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি; এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর। তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি। তোমাদের ধর্ম (শিরক) তোমাদের জন্যে এবং আমার ধর্ম (ইসলাম) আমার জন্যে। [ সুরা কাফিরূন-১-৬ ]
•বলুন, আল্লাহ এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী;
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি; এবং তার সমতুল্য কেউ নেই। [ সুরা ইখলাস-১-৪ ]
•বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার; তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে; অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়; গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে; এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে। [ সুরা ফালাক-১-৫ ]
•বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার নিকট, মানুষের অধিপতির নিকট, মানুষের মা'বুদের নিকট। তার অনিষ্ট থেকে যে কুমন্ত্রণা দেয় ও যে আত্নগোপন করে। যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে। [ সুরা নাস-১-৬ ]

Monday, 11 June 2018

২৬তম তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতকৃত অংশ

★ ২৬তম রোজার তারাবীহ ★
[শবে ক্বদরের সম্ভাবনাময় শেষ দশকের একটি রাত]
আজ সোমবার দিবাগত রাতে ২৬তম রোজার তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের ২৯তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।

২৯তম পারা (সুরা মুলকের ১নং আয়াত থেকে সুরা মুরসালাতের ৫০নং আয়াত পর্যন্ত) থেকে সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হল:-
•তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুণাময় আল্লাহ তা'আলার সৃষ্টিতে কোন খুঁত দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টি ফেরাও; কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি? [ সুরা মুলক-৩ ]
•অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ, তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে। [ সুরা মুলক-৪ ]
•নিশ্চয় যারা তাদের পালনকর্তাকে না দেখে ভয় করে, তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার। [ সুরা মুলক-১২ ]
•মুত্তাকীদের জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে ভোগ বিলাসবহুল জান্নাত। [ সুরা কালাম-৩৪ ]
•যখন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে, একটি মাত্র ফুৎকার; এবং পৃথিবী ও পর্বতমালা উত্তোলিত হবে ও চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দেয়া হবে, সেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে। সেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে ও বিক্ষিপ্ত হবে। এবং ফেরেশতাগণ আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে ও আট জন ফেরেশতা আপনার পালনকর্তার আরশকে তাদের উর্ধ্বে ধারন করবে। সেদিন তোমাদেরকে উপস্থিত করা হবে। তোমাদের কোন কিছু গোপন থাকবে না। [ সুরা হাক্বকাহ-১৩-১৮ ]
•ফেরেশতাদেরকে বলা হবেঃ ধর ওকে গলায় বেড়ি পড়িয়ে দাও, অতঃপর নিক্ষেপ কর জাহান্নামে। অতঃপর তাকে শৃঙ্খলিত কর সত্তর হাত দীর্ঘ এক শিকলে। নিশ্চয় সে মহান আল্লাহতে বিশ্বাসী ছিল না।এবং মিসকীনকে আহার্য দিতে উৎসাহিত করত না। অতএব, আজকের দিন এখানে তার কোন সুহূদ নাই। এবং কোন খাদ্য নাই, ক্ষত-নিঃসৃত পুঁজ ব্যতীত। গোনাহগার ব্যতীত কেউ এটা খাবে না। [ সুরা হাক্বকাহ-৩০-৩৭ ]
•সেদিন আকাশ হবে গলিত তামার মত। এবং পর্বতসমূহ হবে রঙ্গীন পশমের মত, বন্ধু বন্ধুর খবর নিবে না। যদিও একে অপরকে দেখতে পাবে। সেদিন গোনাহগার ব্যক্তি পনস্বরূপ দিতে চাইবে তার সন্তান-সন্ততিকে, তার স্ত্রীকে, তার ভ্রাতাকে, তার গোষ্ঠীকে, যারা তাকে আশ্রয় দিত, এবং পৃথিবীর সবকিছুকে; অতঃপর নিজেকে রক্ষা করতে চাইবে। কখনই নয়। নিশ্চয় এটা লেলিহান অগ্নি।
যা চামড়া তুলে দিবে। [ সুরা মা’য়ারিজ-৮-১৬ ]
•তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ কিভাবে সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। এবং সেখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে। [ সুরা নূহ-১৫,১৬ ]
•তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না। তাঁর মনোনীত রসূল ব্যতীত। [ সুরা জ্বীন-২৬,২৭ ]
•আপনার পালনকর্তা জানেন, আপনি এবাদতের জন্যে দন্ডায়মান হন রাত্রির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ, অর্ধাংশ ও এক-তৃতীয়াংশ, এবং আপনার সঙ্গীদের একটি দলও দন্ডায়মান হয়। আল্লাহ দিবা ও রাত্রি পরিমাপ করেন। তিনি জানেন, তোমরা এর পূর্ণ হিসাব রাখতে পার না। অতএব তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরায়ন হয়েছেন। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে, কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশে-বিদেশে যাবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে জেহাদে লিপ্ত হবে। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর। তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। তোমরা নিজেদের জন্যে যা কিছু অগ্রে পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে উত্তম আকারে এবং পুরস্কার হিসেবে বর্ধিতরূপে পাবে। তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। [ সুরা মুযযাম্মিল-২০ ]
•অপরাধীদের সম্পর্কে বলা হবেঃ তোমাদেরকে কিসে জাহান্নামে নীত করেছে? তারা বলবেঃ আমরা নামায পড়তাম না, অভাবগ্রস্তকে আহার্য্য দিতাম না, আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করতাম। এবং আমরা প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম। আমাদের নিকট মৃত্যুর আগমন পর্যন্ত। [ সুরা মুদ্দাসসির-৪১-৪৭ ]
•মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে? সে কি স্খলিত বীর্য ছিল না? অতঃপর সে ছিল রক্তপিন্ড, অতঃপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং সুবিন্যস্ত করেছেন। অতঃপর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন যুগল নর ও নারী। তবুও কি সেই আল্লাহ মৃতদেরকে জীবিত করতে সক্ষম নন? [ সুরা কিয়ামা’হ- ৩৬-৪০ ]
•তারা আল্লাহর প্রেমে অভাবগ্রস্ত, এতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে। তারা বলেঃ কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি এবং তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান ও কৃতজ্ঞতা কামনা করি না। আমরা আমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে এক ভীতিপ্রদ ভয়ংকর দিনের ভয় রাখি। অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে সেদিনের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন এবং তাদেরকে দিবেন সজীবতা ও আনন্দ। এবং তাদের সবরের প্রতিদানে তাদেরকে দিবেন জান্নাত ও রেশমী পোশাক। [ সুরা দা’হর-৮-১২ ]
•সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে। এটা এমন দিন, যেদিন কেউ কথা বলবে না।এবং কাউকে তওবা করার অনুমতি দেয়া হবে না। [ সুরা মুরসালাত-৩৪-৩৬ ]

Saturday, 9 June 2018

এই ঈদে নিরাপদ হোক আমাদের পথচলা

আজ ২৪ রমজান চলছে, দেখতে দেখতে রমজান মাস চলে যাচ্ছে।
সামনে ঈদ, আর ঈদকে সামনে রেখে এখন থেকেই শুরুে হয়ে গেছে প্রিয় মানুষের সাথে ঈদ ভাগাভাগি করতে বাড়ীতে যাওয়ার ধুম।
কেউ লঞ্চে,বাসে, ট্রেনে যে যেভাবে পারবে সেভাবেই বাড়ীতে যাবার চেষ্টা করবে। সবাই চাই ঈদটা কাছের লোকদের সাথে কাটাতে।
এ ক্ষেত্রে একটা ব্যাপার না বললেই নয় যে প্রতি বছর এই ঈদের আগে বিভিন্ন অসাবধানতা ও অন্যান্য কারনে অনেক দূর্ঘটনা ঘটে যা মোটেই কাম্য নয়।

তাই সবার উদ্দেশ্যে অনুরোধ থাকবে বাড়ী যাবেন ঠিক আছে, তবে আগে নিজের নিরাপত্তা, পরে ভ্রমন। জীবনের ঝুকি নিয়ে কেউ বিপজ্জনক ভ্রমন করবেন না। কারন আপনার জীবনের সাথেই জড়িয়ে আছে আপনার প্রিয়জনদের জীবন।
নিজের জীবনকে ভালবাসুন,প্রিয়জনদের ভালবাসুন এবং অন্তত প্রিয়জনদের কথা ভেবে হলেও ঝুকিপুর্ন ভ্রমন হতে নিজে বিরত থাকুন এবং অপরজনতে সচেতন করুন। আপনার একটু সচেতনতায় পারে ভয়াবহ দূর্ঘটনা থেকে বেচে থাকতে।
ধন্যবাদ

২৫ তম তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতকৃত অংশ

২৫ তম তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতকৃত অংশ

★ ২৫তম রোজার তারাবীহ ★
[শবে ক্বদরের সম্ভাবনাময় বেজোড় রাত]
আজ রবিবার দিবাগত রাতে ২৫তম রোজার শবে ক্বদরের রাতে (অধিক সম্ভাবনার বেজোড় রাতের অন্যতম একটি রাত) তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের ২৮তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।

২৮তম পারা (সুরা মুজাদালাহর ১নং আয়াত থেকে সুরা তাহরীমের ১২নং আয়াত পর্যন্ত) থেকে সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো :-
•আপনি কি অনুধাবন করেননি যে, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, আল্লাহ তা জানেন? তিন ব্যক্তির মধ্যে এমন কোন গোপন পরামর্শ হয় না যাতে তিনি চতুর্থ হিসাবে উপস্থিত না থাকেন; এবং পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে এমন কোন গোপন পরামর্শ হয় না যাতে তিনি ষষ্ঠ হিসাবে উপস্থিত না থাকেন; তারা এতদপেক্ষা কম হোক বা বেশী হোক, তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তিনি তাদের সাথে আছেন। তারা যা করে, তিনি কেয়ামতের দিন তা তাদেরকে জানিয়ে দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত। [ সুরা মুজাদালাহ-৭ ]
•আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী এমন সম্প্রদায় আপনি পাবেন না যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচারীদের ভালোবাসে; হোক না এই বিরুদ্ধাচারীরা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে। [ সুরা মুজাদালাহ-২২ ]
•তাদের তুলনা হচ্ছে শয়তানের মত, যে মানুষকে কাফের হতে বলে। অতঃপর যখন সে কাফের হয়, তখন শয়তান বলেঃ তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি বিশ্বপালনকর্তা আল্লাহ তা'আলাকে ভয় করি। ফলে উভয়ের পরিনাম হবে জাহান্নাম এবং চিরকাল তথায় বসবাস করবে। এটাই জালেমদের কর্মফল। [ সুরা হাশর-১৬,১৭ ]
•মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ তা'আলাকে ভয় কর। প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত, আগামীকালের জন্যে সে কি প্রেরণ করে, তা চিন্তা করা। আল্লাহ তা'আলাকে ভয় কর। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা'আলা সে সম্পর্কে খবর রাখেন। [ সুরা হাশর-১৮ ]
•যদি আমি এই কোরআন পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তুমি দেখতে যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহ তা'আলার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে। আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্যে বর্ণনা করি, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। [ সুরা হাশর-২১ ]
•তোমাদের আত্মীয়-স্বজন ও সন্তান-সন্ততি কিয়ামতের দিন কোন উপকারে আসবে না। তিনি তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন। [ সুরা মুমতাহিনা-৩ ]
•ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। [ সুরা মুমতাহিনা-৮ ]
•আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাইতো জালেম। [ সুরা মুমতাহিনা-৯ ]
•মুমিনগণ, আল্লাহ যে জাতির প্রতি রুষ্ট, তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না। তারা পরকাল সম্পর্কে নিরাশ হয়ে গেছে, যেমন কাফেররা নিরাশ হয়ে গেছে সমাধিস্থদের বিষয়ে। [ সুরা মুমতাহিনা-১৩ ]
•মুমিনগণ, তোমরা যা কর না, তা কেন বল?
তোমরা যা কর না, তা বলা আল্লাহর দৃষ্টিতে খুবই অসন্তোষজনক। [ সুরা সফ-২,৩ ]
•যারা আল্লাহর পথে লড়াই করে সারিবদ্ধভাবে সীসাগালানো প্রাচীরের মত, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। [ সুরা সফ-৪ ]
•স্মরণ কর, যখন মরিয়ম-তনয় ঈসা বললঃ হে বনী ইসরাইল! আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত রসূল, আমার পূর্ববর্তী তওরাতের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদদাতা, যিনি আমার পরে আগমন করবেন। তাঁর নাম আহমদ। অতঃপর যখন সে স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আগমন করল, তখন তারা বললঃ এ তো এক প্রকাশ্য যাদু। [ সুরা সফ-৬ ]
•তারা মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর নূর নিভিয়ে দিতে চায়। আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে। [ সুরা সফ-৮ ]
•মুমিনগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে? তা এই যে, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবনপণ করে জেহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বোঝ। [ সুরা সফ-১০,১১ ]
•মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম, যদি তোমরা বুঝ। [ সুরা জুম’য়া-৯ ]
•অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর; ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। [ সুরা জুম’য়া-১০ ]
•মুমিনগণ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয়, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। [ সুরা মুনাফিক্বুন-৯ ]
•আমি তোমাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় কর। অন্যথায় সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি সাদকাহ করতাম এবং সৎ কর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। [ সুরা মুনাফিক্বুন-১০ ]
•প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন। [ সুরা মুনাফিক্বুন-১১ ]
•আল্লাহর নির্দেশ ব্যতিরেকে কোন বিপদ আসে না এবং যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তিনি তার অন্তরকে সৎপথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত। [ সুরা তাগাবুন-১১ ]
•তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তো কেবল পরীক্ষা। আর আল্লাহর কাছে রয়েছে মহাপুরস্কার। [ সুরা তাগাবুন-১৫ ]
•তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে চাও, তখন তাদেরকে তালাক দিয়ো ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে, এবং ইদ্দত গণনা করে, এবং তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করে। তোমরা তাদেরকে তাদের গৃহ থেকে বহিস্কার করো না এবং তারাও যেন বের না হয়; যদি না তারা কোন সুস্পষ্ট নির্লজ্জ কাজে লিপ্ত হয়। এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে ব্যক্তি আল্লাহর সীমালংঘন করে, সে নিজেরই অনিষ্ট করে। সে জানে না, হয়তো আল্লাহ এই তালাকের পর কোন নতুন উপায় করে দেবেন। [ সুরা তালাক-১ ]
•অতঃপর তাদের ইদ্দতকাল পূরন হলে, হয় তাদেরকে যথোপযুক্ত পন্থায় রেখে দেবে অথবা যথোপযুক্ত পন্থায় ছেড়ে দেবে; এবং তোমাদের মধ্য থেকে দু'জন নির্ভরযোগ্য লোককে সাক্ষী রাখবে। তোমরা আল্লাহর জন্য সঠিক সাক্ষ্য দিও। এতদ্দ্বারা যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে। আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির ব্যবস্থা করে দেবেন। [ সুরা তালাক-২ ]
•তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের ঋতুবর্তী হওয়ার আশা নেই, তাদের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাদের ইদ্দত হবে তিন মাস। আর যারা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি, তাদেরও অনুরূপ ইদ্দতকাল হবে। গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তানপ্রসব পর্যন্ত। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার সমস্যার সমাধান সহজ করে দিবেন। [ সুরা তালাক-৪ ]
•মুমিনগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর। যাতে নিয়োজিত আছে পাষাণ হৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণ। তারা আল্লাহ তা'আলা যা আদেশ করেন, তা অমান্য করে না এবং যা করতে আদেশ করা হয়, তাই করে। [ সুরা তাহরীম-৬ ]
•মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ তা'আলার কাছে তওবা কর, আন্তরিক তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। সেদিন নবী এবং তাঁর বিশ্বাসী সহচরদেরকে আল্লাহ অপদস্থ করবেন না। তাদের নূর তাদের সামনে ও ডানদিকে ছুটোছুটি করবে। তারা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের নূরকে পূর্ণতা দান করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান। [ সুরা তাহরীম-৮ ]

বাংলাদেশে সর্বনিম্ন ফিতরার হার ২০১৮

এ বছরের ফিতরা জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা ও সর্বনিম্ন ৭০ টাকা নির্ধারণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
 বায়তুল মোকাররমে এক সভায় জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত বছর সর্বনিম্ন ৬৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৮০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সভায় বলা হয়, ইসলামি শরিয়া মতে, আটা, খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যব—এসব পণ্যের যেকোনো একটি দ্বারা ফিতরা দেওয়া যায়। ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম গম বা আটা অথবা খেজুর, কিশমিশ, পনির বা যবের মধ্যে সামর্থ্য অনুযায়ী যেকোনো একটি পণ্যের ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যায়। আটা দিয়ে আদায় করলে ৭০ টাকা, যব দিয়ে আদায় করলে ৫০০ টাকা, কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে ১ হাজার ৩২০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ১ হাজার ৯৮০ টাকা, পনির দ্বারা আদায় করলে ২ হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা দিতে হবে। সভায় বলা হয়, দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিশমিশ ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজারমূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এসব পণ্যের যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজারমূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। পণ্যগুলোর স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
 তথ্য সূত্রঃ- প্রথম আলো

হাসি-টাট্টা করে জীবন উপভোগ করা যায় কিন্তু জীবন পার করা যায় না.

জীবনে সফল হতে চান তাহলে আপনার সিগারেট খাওয়া বন্ধুটির সঙ্গ ত্যাগ করুন.
সে আপনাকে সর্বোচ্চ ডার্বি সিগারেট থেকে বেনসন সুইচ বরাবর জ্ঞান দিতে পারবে এর বাহিরে নই
নারী আপনি জীবনের স্বাদ ভিন্নভাবে উপলব্ধি করতে চান তাহলে সবসময় সেল্পি তুলা,,ফুসকার দোকানে নিয়ে যাওয়া বান্ধুবীটার জীবন থেকে সরে দাড়ান.

ওনি আপনাকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকার ঝাল ফুসকা থেকে ৮০ টাকার দই ফুসকা বরাবর নিয়ে যেতে পারবে এর বেশি নই.
অথবা ক্যান্ডি এপস দিয়ে ছবি তুললে ফর্সা হয় নাকি b612 এ্যপস দিয়ে ছবি তুলে ফর্সা হয় এতটুকু জ্ঞান দিতে পারবে.
আপনার ২০-৩০ জন বন্ধু-বান্ধুবীর সাথে মেসেজিং গ্রুপে সর্বোচ্চ কয়ধরনের গালি আছে তা শিখতে পারবেন এর বেশি নই.
অথবা কোন বান্ধুবীর কয়টা বয়ফ্রেন্ড আছে কয়জন থেকে কতটুকু কিভাবে উসুল করছে তা দেখে এক চিলতে হাসতে পারবেন এর বেশিকিছু নই.
একই কাজ রোজ করতে বোরিং নিশ্চয় লাগে.
জীবনের অর্ধেকটা বয়স তো একইরকম কাজ করে কাটিয়ে দিয়েছেন এবার না হয় একটু ভিন্নকিছু ট্রাই করুন.
মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে লিভ নিয়ে নিন.
যে সময়টা গ্রুপে মেসেজে কাটায়তেন সেসময়টা বিভিন্ন রাইটারের গল্পের বই পড়ে দেখুন.
মানুষ তার জীবনে কতটা স্ট্রাগল মুহুর্ত পার করেও এখনো বেঁচে আছে সে গল্প গুলো পড়ুন.
ফেবুতে বড় বড় বাস্তববাদী লেখকদের লিখা ফলো করুন.
যে সময়টা অপূর্ব-সিয়াম-মেহজাবিন-সাবিলা নুরের নাটক দেখে পার করতেছেন সে সময়টা ইউটিউবে ম্যাথ,ইংরেজি,,পরিসংখ্যান,, একাউন্টিং এর ক্লাসগুলো ডাউনলোড করে দেখুন.
যে সময়টা বফ/গফ/ ক্রাশের সাথে রোমান্টিক মেসেজ করে কাটিয়ে দিতাছেন সে সময়টা সেখানে না দিয়ে বিভিন্ন জীবন সংশ্লিষ্ট গ্রুপে গল্প পড়ুন
আপনার মতো আরো একজন ছেলে/মেয়ে কিভাবে দিন পার করে তা পড়ুন.
আপনি যখন বাসায় বসে চিকেন গ্রীল চাবায়তেছেন ঠিক সে সময়টাতে অনার্সের একজন স্টুডেন্ট রোজা রেখে পরের বাড়িতে ২ ঘন্টা পড়িয়ে সিংগারা-পিয়াজু আরেকগ্লাস পানি খেয়ে হাসিমুখে ইফতার সেরে নিছে তার জীবনী টা একবার পড়ুন.
জীবনটা এতো সহজ না.
এখন হয়ত সহজ সময় পার করতেছেন কিন্তু যখন দেখবেন আপনার আব্বু পুরোপুরি অকেঁজো হয়ে পড়ল আর পুরো ফ্যামিলির দায়বার আপনার উপর পড়ল তখন বুঝবেন সহজ সময়ের চেয়ে কতটা তীব্রতর কঠিন সময় তা বাস্তবতা বুঝিয়ে দেয়.
সময় থাকতে চিন্তা করুন.
আপনার এখন যে বেস্টফ্রেন্ড আছে এদের ত্যাগ করুন এদের কাছ থেকে না পারবেন শিখতে না পারবেন শিখাতে.হা কিছু বন্ধু আছে আপনাকে উৎসাহ আর ভাল কাজে অনুপ্রােরনা দেয় ওদের সঙ্গে থাকুন। বন্ধু নির্বাচন করুন সুন্দর গঠন আর টাকা দেখে নয়,,বন্ধু নির্বাচন করুন ভাল মন-মানসিকতা ও ভাল কাজে অনুপ্রেরণা দেওয়া বন্ধু টা কে।
বড় বড় সিনিয়দের সাথে উঠাবসা করুন.
সিনিয়র ভাইয়েরা কিভাবে জীবন যাপন করে তা দেখুন.
বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন সিনিয়রদের সাথে.
অনেক কিছু শিখার আছে.
একবার সম্পর্ক গড়ে দেখুন তখন বুঝবেন.
হাসি-টাট্টা করে জীবন উপভোগ করা যায় কিন্তু জীবন পার করা যায় না.
আজ না হোক কাল মুখোমুখি হবেন বাস্তবতার.

২৪ তম তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতকৃত অংশ

২৪ তম তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতকৃত অংশ

★ ২৪তম রোজার তারাবীহ ★
[শবে ক্বদরের সম্ভাবনাময় শেষ দশকের একটি রাত]
আজ শনিবার দিবাগত রাতে ২৪তম রোজার রাতে (শবে ক্বদরের সম্ভাবনাময় শেষ দশকের একটি রাত) তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের ২৭তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।

২৭তম পারা (সুরা যারিয়া’ত এর ৩১নং আয়াত থেকে সুরা হাদীদের ২৯নং আয়াত পর্যন্ত) থেকে সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হল:-
•আমি প্রত্যেক বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, যাতে তোমরা হৃদয়ঙ্গম কর। [ সুরা যারিয়া’ত-৪৯ ]
•আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি। [ সুরা যারিয়া’ত-৫৬ ]
•নিশ্চয় খোদাভীরুরা থাকবে জান্নাতে ও নেয়ামতে। তারা উপভোগ করবে যা তাদের পালনকর্তা তাদের দেবেন এবং তিনি জাহান্নামের আযাব থেকে তাদেরকে রক্ষা করবেন। তাদেরকে বলা হবেঃ তোমরা যা করতে তার প্রতিফলস্বরূপ তোমরা তৃপ্ত হয়ে পানাহার কর। তারা শ্রেণীবদ্ধ সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। আমি তাদেরকে আয়তলোচনা হুরদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দেব।
যারা ঈমানদার এবং যাদের সন্তানরা ঈমানে তাদের অনুগামী হয়, আমি তাদেরকে তাদের সন্তান-সন্ততির সাথে মিলিত করে দেব এবং তাদের আমল বিন্দুমাত্রও হ্রাস করব না।
প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃত কর্মের জন্য দায়ী।
আমি তাদেরকে দেব ফল-মূল এবং মাংস যা তারা চাইবে।
সেখানে তারা একে অপরকে পানপাত্র দেবে; যাতে অসার বকাবকি নেই এবং পাপকর্মও নেই। সুরক্ষিত মুক্তাসদৃশ কিশোররা তাদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। [ সুরা তুর-১৭-২৪ ]
•আপনার পালনকর্তার নির্দেশের অপেক্ষায় সবর করুন। আপনি আমার দৃষ্টির সামনেই রয়েছেন এবং আপনি আপনার পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করুন যখন আপনি শয্যা ত্যাগ করেন। এবং রাত্রির কিছু অংশে এবং তারকা অস্ত গমনের পর তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করুন। [ সুরা তুর-৪৮,৪৯ ]
•যারা বড় বড় গোনাহ ও অশ্লীলকার্য থেকে বেঁচে থাকে, ছোটখাট অপরাধ করলেও নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার ক্ষমা অপরিসীম। তিনি তোমাদের সম্পর্কে ভাল জানেন; যখন তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা থেকে এবং যখন তোমরা মাতৃগর্ভে ভ্রুণরুপে অবস্থান কর। অতএব তোমরা আত্নপ্রশংসা করো না। তিনি ভাল জানেন কে মুত্তাকী। [ সুরা নাজম-৩২ ]
•কোন ব্যক্তি অপরের গোনাহ বহন করবে না। এবং মানুষ তাই পায়, যা সে করে।[ সুরা নাজম-৩৮,৩৯ ]
•আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, উপদেশ গ্রহনকারী কেউ আছে কি? [ সুরা ক্বামার-১৭ ]
•নিশ্চয়ই অপরাধীরা পথভ্রষ্ট ও বিকারগ্রস্ত। যেদিন তাদেরকে মুখ হিঁচড়ে টেনে নেয়া হবে জাহান্নামের দিকে; বলা হবেঃ জাহান্নামের আযাব আস্বাদন কর। [ সুরা ক্বামার-৪৭,৪৮ ]
•তাদের সমস্ত কার্যকলাপ আমলনামায় লিপিবদ্ধ আছে। ছোট ও বড় সবই লিপিবদ্ধ। [ সুরা ক্বামার-৫২,৫৩ ]
•তোমরা ওজনের ন্যায্য মান প্রতিষ্ঠিত কর এবং ওজনে কম দিয়ো না। [ সুরা আর-রহমান-৯ ]
•তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে। এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে। অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে? [ সুরা আর-রহমান-১৪-১৬ ]
•ভূপৃষ্টের সবকিছুই ধ্বংসশীল। একমাত্র আপনার মহিমায় ও মহানুভব পালনকর্তার সত্তা ছাড়া। [ সুরা আর-রহমান-২৬,২৭ ]
•এটাই জাহান্নাম, যাকে অপরাধীরা মিথ্যা বলত। তারা জাহান্নামের অগ্নি ও ফুটন্ত পানির মধ্যে ছুটোছুটি করবে। [ সুরা আর-রহমান-৪৩,৪৪ ]
•উত্তম কাজের প্রতিদান উত্তম পুরস্কার ব্যতীত আর কি হতে পারে? [ সুরা আর-রহমান-৬০ ]
•যখন কিয়ামতের ঘটনা ঘটবে, এটার সংঘটন অস্বীকার করার কেউ থাকবে না। এটা কেহকে করে দেবে নীচু, কেহকে করে দেবে সমুন্নত। যখন প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী। এবং পর্বতমালা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে। অতঃপর তা হয়ে যাবে উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণা। [ সুরা ওয়াক্বিয়া-১-৬ ]
•যারা ডান দিকে থাকবে, কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল। তারা থাকবে এক উদ্যানে, যেখানে থাকবে কাঁটাবিহীন কুল বৃক্ষ। এবং কাঁদি কাঁদি কলায়, এবং দীর্ঘ ছায়ায় এবং প্রবাহিত পানিতে, ও প্রচুর ফল-মূলে, যা শেষ হবার নয় এবং নিষিদ্ধও নয়। আর থাকবে সমুন্নত শয্যায়। আমি জান্নাতী রমণীগণকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি।
অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী।সোহাগিনী, সমবয়স্কা। (এ সবই) ডান দিকের লোকদের জন্যে। [ সুরা ওয়াক্বিয়া-২৭-৩৮ ]
•বাম দিকের লোক, কত না হতভাগা বামদিকের দল। তারা থাকবে প্রখর বাষ্পে এবং উত্তপ্ত পানিতে, এবং ধুম্রকুঞ্জের ছায়ায়। যা শীতল নয় এবং আরামদায়কও নয়।
তারাতো ইতিপূর্বে মগ্ন ছিল ভোগবিলাসে। এবং তারা সদাসর্বদা ঘোরতর পাপকর্মে ডুবে থাকত। তারা বলতঃ আমরা যখন মরে অস্থি ও মৃত্তিকায় পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি পুনরুত্থিত হব? এবং আমাদের পূর্বপুরুষগণও! বলুনঃ পূর্ববর্তী ও পরবর্তীগণ,
সবাই একত্রিত হবে এক নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট সময়ে। অতঃপর হে পথভ্রষ্ট, মিথ্যারোপকারীগণ। তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে যাক্কুম বৃক্ষ থেকে, অতঃপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে, অতঃপর তার উপর পান করবে উত্তপ্ত পানি। পান করবে পিপাসিত উটের ন্যায়। কেয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন। [ সুরা ওয়াক্বিয়া-৪১-৫৬ ]
•তিনিই প্রথম, তিনিই সর্বশেষ, তিনিই ব্যপ্ত, তিনিই গুপ্ত এবং তিনি সব বিষয়ে সম্যক অবহিত। [ সুরা হাদীদ-৩ ]
•তোমরা যেখানেই থাক না কেন তিনি তোমাদের সাথেই আছেন । তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন। [ সুরা হাদীদ-৪ ]
•কে সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহকে উত্তম ধার দিবে? এরপর তিনি তার জন্যে তা বহুগুণে বৃদ্ধি করবেন এবং তার জন্যে রয়েছে সম্মানিত পুরস্কার। [ সুরা হাদীদ-১১ ]
•নিশ্চয় দানশীল ব্যক্তি ও দানশীলা নারী, যারা আল্লাহকে উত্তমরূপে ধার দেয়, তাদেরকে দেয়া হবে বহুগুণ বেশী এবং তাদের জন্যে রয়েছে সম্মানজনক পুরস্কার। [ সুরা হাদীদ-১৮ ]
•মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। তিনি নিজে অনুগ্রহের দ্বিগুণ অংশ তোমাদেরকে দিবেন। তোমাদেরকে দিবেন জ্যোতি, যার সাহায্যে তোমরা চলবে এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়। [ সুরা হাদীদ-২৮ ]

Friday, 8 June 2018

২৩ তম তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতকৃত অংশ

★ ২৩তম রোজার তারাবীহ ★
[শবে ক্বদরের সম্ভাবনাময় বেজোড় রাত]
আজ শুক্রবার দিবাগত রাতে ২৩তম রোজার (শবে ক্বদরের সম্ভাবনাময় বেজোড় রাতের অন্যতম একটি রাত) তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের ২৬তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।

২৬তম পারা (সুরা আহক্বাফ এর ১নং আয়াত থেকে সুরা যারিয়া’ত এর ৩০ আয়াত পর্যন্ত) থেকে সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো :-
•যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবর্তে এমন বস্তুর পূজা করে, যে কেয়ামত পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না, তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? তারা তো তাদের পুজা সম্পর্কেও বেখবর। [সুরা আহক্বাফ-৫]
•নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ; অতঃপর অবিচল থাকে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিত হবে না। [সুরা আহক্বাফ-১৩]
•যেদিন কাফেরদেরকে জাহান্নামের কাছে উপস্থিত করা হবে সেদিন বলা হবে, তোমরা তোমাদের সুখ পার্থিব জীবনেই নিঃশেষ করেছ এবং সেগুলো ভোগ করেছ। সুতরাং আজ তোমাদেরকে অপমানকর আযাবের শাস্তি দেয়া হবে; কারণ, তোমরা পৃথিবীতে অন্যায় ভাবে অহংকার করতে এবং তোমরা ছিলে সত্যদ্রোহী। [সুরা আহক্বাফ-২০]
•আমি তাদের দিয়েছিলাম, কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয়; কিন্তু তাদের কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয় তাদের কোন কাজে আসল না। কেননা তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত এবং তাদেরকে সেই শাস্তি গ্রাস করে নিল, যা নিয়ে তারা ঠাট্টা বিদ্রুপ করত। [সুরা আহক্বাফ-২৬]
•তোমরা আল্লাহর দিকে আহবানকারীর কথা মান্য কর এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। তিনি তোমাদের গোনাহ মার্জনা করবেন এবং যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি থেকে তোমাদেরকে রক্ষা করবেন। [সুরা আহক্বাফ-৩১]
•যারা কুফরী করে এবং আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে, আল্লাহ তাদের সকল কর্ম ব্যর্থ করে দেন। [সুরা মুহাম্মাদ-১]
•যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না। [সুরা মুহাম্মাদ-৪]
•আল্লাহ মুমিনদের অভিভাবক এবং কাফেরদের কোন অভিভাবক নাই। [সুরা মুহাম্মাদ-১১]
•পরহেযগারদেরকে যে জান্নাতের ওয়াদা দেয়া হয়েছে, তার অবস্থা নিম্নরূপঃ তাতে আছে পানির নহর, নির্মল দুধের নহর, যার স্বাদ অপরিবর্তনীয়, পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু শরাবের নহর এবং পরিশোধিত মধুর নহর। তথায় তাদের জন্যে আছে রকমারি ফল-মূল ও আছে তাদের পালনকর্তার ক্ষমা। পরহেযগাররা কি তাদের সমান, যারা জাহান্নামে অনন্তকাল থাকবে এবং যাদেরকে পান করতে দেয়া হবে ফুটন্ত পানি, অতঃপর তা তাদের নাড়িভূঁড়ি ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দেবে? [সুরা মুহাম্মাদ-১৫]
•যারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ তাদের সৎপথে চলার শক্তি বৃদ্ধি করেন, এবং তাদেরকে মুত্তাকী হওয়ার শক্তি দান করেন। [সুরা মুহাম্মাদ-১৭]
•যখন কোন দ্ব্যর্থহীন সূরা নাযিল হয় এবং তাতে জেহাদের উল্লেখ করা হয়, তখন যাদের অন্তরে রোগ আছে, আপনি তাদেরকে মৃত্যুভয়ে মূর্ছাপ্রাপ্ত মানুষের মত আপনার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখবেন। সুতরাং ধ্বংস তাদের জন্যে। [সুরা মুহাম্মাদ-২০]
•তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ? [সুরা মুহাম্মাদ-২৪]
•হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রসূলের আনুগত্য কর এবং নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না। [সুরা মুহাম্মাদ-৩৩]
•অতএব, তোমরা হীনবল হয়ো না এবং সন্ধির প্রস্তাব করো না, তোমরাই হবে প্রবল। আল্লাহই তোমাদের সাথে আছেন। তিনি কখনও তোমাদের কর্মফল হ্রাস করবেন না। [সুরা মুহাম্মাদ-৩৫]
•তোমরাই তো তারা, যাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করার আহবান জানানো হচ্ছে, অতঃপর তোমাদের কেউ কেউ কৃপণতা করছে। যারা কৃপণতা করছে, তারা নিজেদের প্রতিই কৃপণতা করছে। আল্লাহ অভাবমুক্ত এবং তোমরা অভাবগ্রস্থ। যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করবেন, এরপর তারা তোমাদের মত হবে না। [সুরা মুহাম্মাদ-৩৮]
•তিনিই মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি নাযিল করেন, যাতে তাদের ঈমানের সাথে আরও ঈমান বেড়ে যায়। [সুরা ফাতাহ-৪]
•আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি স্বাক্ষী রূপে, সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে। [সুরা ফাতাহ-৮]
•নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম মেহেরবান। [সুরা ফাতাহ-১৪]
•মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও। [সুরা হুজুরাত-৬]
•যদি মুমিনদের দুই দল যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তবে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিবে। অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর চড়াও হয়, তবে তোমরা আক্রমণকারী দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর নির্দেশের দিকে ফিরে আসে। যদি ফিরে আসে, তবে তোমরা তাদের মধ্যে ন্যায়ানুগ পন্থায় মীমাংসা করে দিবে এবং ইনসাফ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে পছন্দ করেন। [সুরা হুজুরাত-৯]
•মুমিনরা তো পরস্পর ভাই-ভাই। অতএব, তোমরা তোমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে মীমাংসা করবে এবং আল্লাহকে ভয় করবে, যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও। [সুরা হুজুরাত-১০]
•তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ ঈমান আনার পর তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ করা থেকে তওবা না করে তারাই যালেম। [সুরা হুজুরাত-১১]
•মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং কারও গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়া পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরাতো একে ঘৃণাই মনে কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। [সুরা হুজুরাত-১২]
•নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক মর্যাদাসম্পন্ন, যে সর্বাধিক পরহেযগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন। [সুরা হুজুরাত-১৩]
•তারাই মুমিন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আনার পর সন্দেহ পোষণ করে না এবং আল্লাহর পথে জীবন ও ধন-সম্পদ দ্বারা জেহাদ করে। তারাই সত্যনিষ্ঠ। [সুরা হুজুরাত-১৫]
•আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তার মন নিভৃতে তাকে যে কুমন্ত্রণা দেয়, সে সম্বন্ধেও আমি অবগত আছি। আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও অধিক নিকটবর্তী। [সুরা ক্বাফ-১৬]
•দুই ফেরেশতা ডানে ও বামে বসে তার আমল লিপিবদ্ধ করে। সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তাই গ্রহণ করার জন্যে তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে। [সুরা ক্বাফ-১৭-১৮]
•যে আমার শাস্তিকে ভয় করে, তাকে কোরআনের সাহায্যে উপদেশ দান করুন। [সুরা ক্বাফ-৪৫]
•সেদিন আল্লাহভীরুরা প্রস্রবণ বিশিষ্ট জান্নাতে থাকবে। এমতাবস্থায় যে, তারা গ্রহণ করবে যা তাদের পালনকর্তা তাদেরকে দেবেন। কারন পার্থিব জীবনে তারা ছিল সৎকর্মপরায়ণ; তারা রাত্রির সামান্য অংশেই নিদ্রা যেত, রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমাপ্রার্থনা করত, এবং তাদের ধন-সম্পদে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতের হক ছিল। [সুরা যারিয়া’ত-১৫-১৯]

Thursday, 7 June 2018

২২ তম তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতকৃত অংশ

২২ তম তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতকৃত অংশ

★ ২২তম রোজার তারাবীহ ★
[শবে ক্বদরের সম্ভাবনাময় রাতের অন্যতম একটি রাত]
আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ২২তম রোজার (সম্ভাবনার শবে ক্বদরের রাত, শেষ দশকের অন্যতম একটি রাত) তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের ২৫তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।

২৫তম পারা (সুরা হা-মীম এর ৪৭ আয়াত থেকে সুরা যাসিয়ার শেষ আয়াত পর্যন্ত) থেকে সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো :-
•কেয়ামতের জ্ঞান শুধু আল্লাহর কাছেই ন্যস্ত। তাঁর জ্ঞানের বাইরে কোন ফল আবরণ হতে বের হয় না। এবং কোন নারী গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব করে না। [সুরা হা-মীম-৪৭]
•আমি যখন মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করি তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং পার্শ্ব পরিবর্তন করে নেয়। আর যখন তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সুদীর্ঘ দোয়া করতে থাকে। [সুরা হা-মীম-৫১]
•আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা, রিযিক দান করেন। তিনি প্রবল, পরাক্রমশালী। [সুরা শূরা-১৯]
•যে কেউ পরকালের ফসল কামনা করে, আমি তার জন্যে সেই ফসল বাড়িয়ে দেই। আর যে ইহকালের ফসল কামনা করে, আমি তাকে তার কিছু দিয়ে দেই এবং পরকালে তার কোন অংশ থাকবে না। [সুরা শূরা-২০]
•তিনি তাঁর বান্দাদের তওবা কবুল করেন, পাপসমূহ মার্জনা করেন এবং তিনি তোমাদের কৃত বিষয় সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। [সুরা শূরা-২৫]
•তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল; এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন। [সুরা শূরা-৩০]
•তোমাদেরকে যা দেয়া হয়েছে তা পার্থিব জীবনের ভোগ মাত্র। আর আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী। তাদের জন্যে, যারা ঈমান আনে ও তাদের পালনকর্তার উপর ভরসা করে। [সুরা শূরা-৩৬]
• যে সবর করে ও ক্ষমা করে দেয়, নিশ্চয়ই এটা সাহসিকতার কাজ। [সুরা শূরা-৪৩]
•আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে অবশ্যম্ভাবী দিবস আসার পূর্বে তোমরা তোমাদের পালনকর্তার আদেশ মান্য কর। সেদিন তোমাদের কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না এবং তা নিরোধকারী কেউ থাকবে না। [সুরা শূরা-৪৭]
•নিশ্চয় এ কোরআন আমার কাছে সমুন্নত অটল রয়েছে লওহে মাহফুযে। [সুরা যূখরুফ-৪]
•আমার সম্পর্ক তাঁর সাথে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। অতএব, তিনিই আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করবেন। [সুরা যূখরুফ-২৭]
•যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্যে এক শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী। [সুরা যূখরুফ-৩৬]
•শয়তান যেন কিছুতেই তোমাদেরকে নিবৃত্ত না করে। সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। [সুরা যূখরুফ-৬২]
•বরকতময় তিনিই; নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর সার্বভৌম অধিপতি। তাঁরই কাছে আছে কেয়ামতের জ্ঞান এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। [সুরা যূখরুফ-৮৫]
•আমি একে (কোরআন) নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে। নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। [সুরা দুখান-৩]
•এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।
আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী।
আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। [সুরা দুখান-৪-৬]
•ফেরাউন, সে ছিল সীমালংঘনকারীদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়।
আমি জেনেশুনে তাদেরকে বিশ্ববাসীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম। [সুরা দুখান-৩১-৩২]
•আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি।
আমি এগুলো অযথা সৃষ্টি করিনি; কিন্তু তাদের অধিকাংশই এটা বোঝে না। [সুরা দুখান-৩৮-৩৯]
•নিশ্চয় খোদাভীরুরা নিরাপদ স্থানে থাকবে- উদ্যানরাজি ও নির্ঝরিণীসমূহে।
তারা পরিধান করবে চিকন ও পুরু রেশমীবস্ত্র, মুখোমুখি হয়ে বসবে।
এরূপই হবে এবং আমি তাদেরকে সঙ্গি দিব আনতলোচনা হুর।
তারা সেখানে শান্ত মনে বিভিন্ন ফল-মূল আনতে বলবে।
প্রথম মৃত্যুর পর তারা সেখানে আর মৃত্যু আস্বাদন করবে না; এবং আপনার পালনকর্তা তাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবেন।
আপনার পালনকর্তার কৃপায় এটাই মহা সাফল্য। [সুরা দুখান-৫১-৫৭]
•সে আল্লাহর আয়াতসমূহ শুনে, অতঃপর অহংকারী হয়ে জেদ ধরে, যেন সে আয়াত শুনেনি। অতএব, তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন। [সুরা যাসিয়া-৮]
•যখন সে আমার কোন আয়াত অবগত হয়, তখন তাকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করে। এদের জন্যই রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। [সুরা যাসিয়া-৯]
•আমি আপনাকে রেখেছি ধর্মের এক বিশেষ শরীয়তের উপর। অতএব, আপনি এর অনুসরণ করুন এবং অজ্ঞদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবেন না। [সুরা যাসিয়া-১৮]
•যালেমরা একে অপরের বন্ধু। আর আল্লাহ পরহেযগারদের বন্ধু। [সুরা যাসিয়া-১৯]
•আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন, যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি তার উপার্জনের ফল পায়। তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না। [সুরা যাসিয়া-২২]
•নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই। যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন মিথ্যাশ্রয়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। [সুরা যাসিয়া-২৭]
•আমার কাছে রক্ষিত এই আমলনামা, যা তোমাদের বিরুদ্ধে সত্য স্বাক্ষ্য দিবে। তোমরা যা করতে আমি তা লিপিবদ্ধ করতাম। [সুরা যাসিয়া-২৯]
•যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদেরকে তাদের পালনকর্তা স্বীয় রহমতে দাখিল করবেন। এটাই প্রকাশ্য সাফল্য। [সুরা যাসিয়া-৩০]

Tuesday, 5 June 2018

২১ তম তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতকৃত অংশ

২১ তম তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতকৃত অংশ

★ ২১তম রোজার তারাবীহ ★
[শবে ক্বদরের সম্ভাবনাময় রাত]
আজ বুধবার দিবাগত রাতে ২১তম রোজার শবে ক্বদরের সম্ভাবনাময় রাতে (অধিকতর সম্ভাবনার বেজোড় রাতের অন্যতম একটি রাত) তারাবীহ নামাজে পবিত্র কোরআনের ২৪তম পারা তেলাওয়াত করা হবে।

২৪তম পারা (সুরা যুমার এর ৩২ আয়াত থেকে সুরা হা-মীম এর ৪৬ আয়াত পর্যন্ত) থেকে সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো-
•যারা সত্য নিয়ে আগমন করেছে এবং সত্যকে সত্য মেনে নিয়েছে; তারাই তো আল্লাহভীরু।
তাদের জন্যে পালনকর্তার কাছে তাই রয়েছে, যা তারা চাইবে। এটা সৎকর্মীদের পুরস্কার। [সুরা যুমার-৩৩-৩৪]
•আল্লাহ যাকে পথপ্রদর্শন করেন, তাকে পথভ্রষ্টকারী কেউ নেই। [সুরা যুমার-৩৭]
•আল্লাহ মানুষের প্রাণ হরণ করেন তার মৃত্যুর সময়, এবং যারা মরেনি তাদের প্রাণও নিদ্রার সময়। অতঃপর যার জন্য মৃত্যুর সিদ্ধান্ত করেন, তার প্রাণ তিনি রেখে দেন, এবং অন্যান্যদের ছেড়ে দেন এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। [সুরা যুমার-৪২]
•যখন একক আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তর বিতৃষ্ণায় সংকুচিত হয়ে যায়; আর যখন আল্লাহ ব্যতীত তাদের দেবতাদের নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন তারা আনন্দে উল্লসিত হয়ে উঠে। [সুরা যুমার-৪৫]
•মানুষকে যখন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে আমাকে ডাকতে শুরু করে। এরপর আমি যখন তাকে আমার পক্ষ থেকে নেয়ামত দান করি, তখন সে বলে, এটা তো আমি আমার জ্ঞানের মাধ্যমে লাভ করেছি। অথচ এটা এক পরীক্ষা, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বোঝে না। [সুরা যুমার-৪৯]
•হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [সুরা যুমার-৫৩]
•আল্লাহ মুত্তাকীদের উদ্ধার করবেন তাদের সাফল্যসহ; তাদেরকে অনিষ্ট স্পর্শ করবে না এবং তারা চিন্তিতও হবে না। [সুরা যুমার-৬১]
•যখন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, আসমান ও যমীনে যারা আছে সবাই বেহুঁশ হয়ে যাবে, তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন তারা ব্যতীত। অতঃপর আবার শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তৎক্ষণাৎ তারা দন্ডায়মান হয়ে তাকাতে থাকবে। [সুরা যুমার-৬৮]
•পৃথিবী তার পালনকর্তার নূরে উদ্ভাসিত হবে, আমলনামা স্থাপন করা হবে, নবীগনকে ও সাক্ষীগণকে হাজির করা হবে এবং সকলের মধ্যে ন্যায়বিচার করা হবে ও তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না। [সুরা যুমার-৬৯]
•কাফেরদেরকে জাহান্নামের দিকে দলে দলে হাঁকিয়ে নেয়া হবে। তারা যখন সেখানে পৌছাবে, তখন জাহান্নামের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হবে; এবং জাহান্নামের রক্ষীরা তাদেরকে বলবেঃ তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য থেকে কোন পয়গম্বর আসেনি, যারা তোমাদের কাছে তোমাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করত এবং সতর্ক করত এ দিনের সাক্ষাতের ব্যাপারে? তারা বলবে, হ্যাঁ, অবশ্যই এসেছিল। বস্তুত কাফেরদের প্রতি শাস্তির হুকুমই বাস্তবায়িত হয়েছে। [সুরা যুমার-৭১]
•যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করত তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। যখন তারা উম্মুক্ত দরজা দিয়ে জান্নাতে পৌছাবে এবং জান্নাতের রক্ষীরা তাদেরকে বলবেঃ তোমাদের প্রতি সালাম, তোমরা সুখে থাক, অতঃপর চিরস্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর। [সুরা যুমার-৭৩]
•(আল্লাহ) যিনি পাপ ক্ষমা করেন এবং তওবা কবুল করেন; যিনি শাস্তিদানে কঠোর, শক্তিশালী। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। প্রত্যাবর্তন তাঁরই নিকট। [সুরা মু’মিন-৩]
•যারা আরশ বহন করে এবং যারা তার চতুস্পার্শ ঘিরে আছে, তারা তাদের পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করে; তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মুমিনদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আপনার রহমত ও জ্ঞান সবকিছুতে পরিব্যাপ্ত। অতএব, যারা তওবা করে এবং আপনার পথ অবলম্বন করে চলে, আপনি তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন। [সুরা মু’মিন-৭]
•তোমরা আল্লাহকে ডাক তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে। [সুরা মু’মিন-১৪]
•আপনি তাদেরকে আসন্ন দিন সম্পর্কে সতর্ক করুন, যখন দুঃখ কষ্টে তাদের প্রাণ কন্ঠাগত হবে, দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। পাপিষ্ঠদের জন্যে কোন বন্ধু নেই এবং সুপারিশকারীও নেই; যার সুপারিশ গ্রাহ্য হবে। [সুরা মু’মিন-১৮]
•যারা নিজেদের কাছে আগত কোন দলীল ছাড়াই আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতন্ডায় লিপ্ত হয়, তাদের একাজ আল্লাহ ও মুমিনদের দৃষ্টিতে অতিশয় ঘৃনাহ। এমনিভাবে আল্লাহ প্রত্যেক অহংকারী ও স্বৈরাচারী ব্যক্তির অন্তরে মোহর এঁটে দেন। [সুরা মু’মিন-৩৫]
•পার্থিব জীবনতো কেবল অস্থায়ী উপভোগের বস্তু, আর পরকাল হচ্ছে চিরস্থায়ী বসবাসের গৃহ। [সুরা মু’মিন-৩৯]
•তিনি চিরঞ্জীব, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তোমরা তাঁকেই ডাক তাঁর এবাদতে একনিষ্ঠ হয়ে। সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহর প্রাপ্য। [সুরা মু’মিন-৬৫]
•তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি এবং দেখেনি তাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হয়েছিল? তারা তাদের চেয়ে সংখ্যায় বেশী এবং শক্তি ও কীর্তিতে অধিক প্রবল ছিল। অতঃপর তাদের কর্ম তাদেরকে কোন উপকার দেয়নি। [সুরা মু’মিন-৮২]
•নিশ্চয় যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার। [সুরা হা-মীম-৮]
•আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা। [সুরা হা-মীম-১২]
•ঐ ব্যক্তির কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার, যে আল্লাহর দিকে মানুষকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমিতো আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত। [সুরা হা-মীম-৩৩]
•এ গুণের অধিকারী করা হয় শুধু তাদেরকেই যারা ধৈর্য্যশীল; এবং এ গুণের অধিকারী করা হয় শুধু তাদেরকেই যারা মহা ভাগ্যবান। [সুরা হা-মীম-৩৫]
•তোমরা সূর্যকে সেজদা করো না, চন্দ্রকেও না; সেজদা কর শুধু আল্লাহকে, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা প্রকৃত তাঁরই এবাদত কর। [সুরা হা-মীম-৩৭]
•আমি যদি আরবী ভাষায় কোরআন নাজিল না করতাম, তবে অবশ্যই তারা বলত, এর আয়াতসমূহ পরিস্কার ভাষায় বিবৃত করা হয়নি কেন? কি আশ্চর্য যে, এ কিতাবের ভাষা অনারবীয় এবং রসূল আরবী ভাষী! বলুন, এটা বিশ্বাসীদের জন্য হেদায়েত ও রোগের প্রতিকার। কিন্তু যারা অবিশ্বাসী তাদের কানে আছে বধিরতা, আর কোরআন তাদের জন্যে অন্ধত্ব। তাদেরকে যেন দূরবর্তী স্থান থেকে আহবান করা হয়। [সুরা হা-মীম-৪৪]

Monday, 4 June 2018

Assalamualaikum
VERY_IMPORTANT
MUST_READ
'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
#Silent_Letters_in_En­glish

'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
What is Silent Letter?
'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
A silent letter is the letter in words that is not pronounced but make a huge difference to the meaning and pronunciation of the whole word.
Looking back to the history of the language, these letters were pronounced initially, and then they became silent. There are a lot of silent letters in English, it’s said that around 60 % of words in English have silent letters. This makes spelling and pronunciation more difficult for learners. Below we will look at some silent letter rules that will help you recognize when certain letters are to be silent.
------------------------------------
#Silent_Letters_in_E­nglish
There are some rules that explain which letters are supposed to be silent, before and after certain letters (the only issue about this is that, like all English rules – there are usually some exceptions!). once you start practicing these rules and using with new vocabulary that you learn, it will become easier to remember silent letters in English.
*#Silent_B*
Rule 1: The letter B is usually not pronounced after M at the end of a word.
• Comb, bomb, thumb, climb, tomb, crumb, lamb
Rule 2: B is usually not pronounced before the letter T.
• Doubt, doubtful, subtle, debt.
*#Silent_C*
Rule 1: The letter C is usually not pronounced in the combination of SC.
• Scissors, ascent, fascinate, muscle.
Rule 2: C is usually mute before the letters K and Q.
• Lock, block, puck, acknowledge.
• Aqua, Acquit, Acquiesce.
*#Silent_D*
Rule 1: The letter D is silent when it appears before the letters N and G.
• Wednesday, cadge, Pledge, grudge.
Rule 2: D is not pronounced in the following Common words:
• Wednesday, handsome, handkerchief, sandwich.
*#Silent_E*
Rule 1: If the letter E comes at the ends of words, it is generally not pronounced.
• Fore, table, before, write, give, hide.
Rule 2: If E occurs before the letter D in the second and third form of the verbs, E may sometimes not to be pronounced.
• Bored, fixed, smuggled, begged.
*#Silent_G*
Rule 1: The G letter is not pronounced when it comes before N in a word.
• Design, foreign, sign, gnash, align.
Exceptions: Magnet, igneous, cognitive, signature
*#Silent_GH*
Rule 1: GH is not pronounced when it comes after a vowel in a word.
• High, light, thought, through alight.
Rules 2: Exceptions: GH is pronounced separately in compound words (As you can see in the following words that exceptions are generally compound words).
• Doghouse, bighead, foghorn.
Rule 3: Except examples from rule 1, GH is sometimes pronounced like F, consider the words below.
• Drought, cough, laugh, tough.
*#Silent_H*
Rule 1: The letter H is usually silent when it appears after W.
• Why, what, when, weather, where.
Rule 2: Sometimes the letter H is not silent after W, consider the words below.
• Whose, whosoever, who, whoever, whole.
Rule 3: H is mute at the beginning of many words (remember to use the article “an” with unvoiced H).
• Hour, honest, honour, heir.
Rule 4: Exceptions: Most of the words beginning with H are not silent (remember to use the article “a” with voiced H)
• History, Historical, Hair, Happy.
*#Silent_K*
Rule: The letter K is always silent when it precedes the letter N in a word.
• Know, knock, knife, knight, knowledge.
*#Silent_L*
Rule: The letter L is usually not pronounced after the vowels: A, O and U.
• Calf, half, palm, would, should, could, folk, yolk.
*#Silent_N*
Rule: The letter N is not pronounced when it comes after M at the end of a word.
• Column, damn, solemn, autumn.
*#Silent_P*
Rule: The letter P is not pronounced at the he beginning of many words using the combinations PS, PT and PN.
• Psalm, psephology, pterodactyl, pneumonia, pneumatic.
*#Silent_PH*
Rule: PH is sometimes pronounced like F.
• Sophia, paragraph, elephant, telephone.
*#Silent_S*
Rule: The letter S is not pronounced before L in the following words:
• Aisle, island, isle, islet.
*#Silent_T*
Rule: The letter T is not pronounced in the following common English words:
• Castle, Christmas, fasten, listen, often, beret, Chevrolet, whistle, thistle, bustle, hasten, soften, rapport, gourmet, ballet. (Please click here to know how to pronounce T in English).
*#Silent_U*
Rule: The letter U is not pronounced when it comes after G and before a vowel in a word.
• Guide, guest, guard, guess, guano
*#Silent_W*
Rule 1: The letter W is not pronounced at the beginning of a word when it is before the letter R.
• Write, wrest, wrong, wrack, wrap.
Rule 2: W is silent in the following words:
• Who, whose, whole, whom, whole, whoever, answer, sword, two.